অনার্স পরীক্ষার্থীদের জন্য পরীক্ষার সময় বন্টন ও গুরুত্বপূর্ন কিছু কথাঃ
🔶 পরীক্ষার সময়কালঃ ৪ ঘন্টা = ২৪০ মিনিট
🔶 পরীক্ষার পূর্ণমানঃ ৮০ মার্ক = প্রতি মার্কের জন্য ৩ মিনিট
🔸ক-বিভাগ: ১০ মার্ক = ৩০ মিনিট
🔸গ-বিভাগ: ৫০ মার্ক = ১৫০ মিনিট
🔸খ-বিভাগ: ২০ মার্ক = ৬০ মিনিট
🔘 ১০ মার্কের একটি প্রশ্ন লেখার জন্য সময় ব্যয় করবেন ৩০ মিনিট। কেউই ৩০ মিনিটের বেশি একটা প্রশ্ন লিখবেন না। পারলে ২/৩ মিনিট সেভ করবেন যাতে যেটা ভাল পারেন সেটাতে সেই সময়টা কাজে লাগানো যায়। ১০ মার্কের জন্য নূন্যতম ৬ পৃষ্ঠা লেখার চেষ্টা করবেন। তাহলে গড়ে এক পৃষ্ঠা লিখতে ৪/৫ মিনিট পাবেন। কারো হাতের লিখা স্পিড ভাল তারা অবশ্যই বেশি লিখবেন।।
অনার্স এর সকল বর্ষের ফরম পূরণ করুন এখানে
অনার্স এর সকল বর্ষের ফলাফল দেখুন এখানে
🔘 ৪ মার্কের একটি প্রশ্ন লেখার সময় ব্যয় করবেন ১২ মিনিট করে। এখানে ২.৫ থেকে ৩ পৃষ্টা লিখবেন।
🔘 প্রশ্নের সাথে পয়েন্টের মিল রাখার চেষ্টা করবেন।
🔘 আবল তাবল লিখে পৃষ্টা বাড়িয়ে কোন লাভ নেই। খাতার পেজেন্টেশন ও হাতের লিখা এবং প্রশ্নের মুল উত্তরটা অল্প কথায় বুঝাতে পারলেও ভাল মার্ক পাবেন। এমন রেকর্ড আছে অতিরিক্ত কাগজ না নিয়েও থিউরিটিকেল একাধিক বিষয়ে A+ পাবার। মূলত স্যাররা প্রথম ১/২ টা প্রশ্ন পড়লেই বুঝতে পারে স্টুডেন্টা কেমন।
সকল ধরনের চাকরীর খবরাখবর জানুন এখানে
🔘 কোন লিখা ভুল হলে তা এক টানে কেটে দিবেন বেশি ঘষামাজার দরকার নেই।
🔘 দ্রুত লিখতে গিয়ে এমন ভাবে লিখা যাবে না যাতে কিছুই বুঝা যায় না। লিখা বুঝা না গেলে স্যার খাতা দেখে বিরক্ত হবে, নম্বরও কম দিবে।
🔘 খাতার বামে ও উপরে ১ ইঞ্চি মার্জিন করবেন, ডানে ও নিচে ½ ইঞ্চি জায়গা রাখবেন তাহলে দেখতে ভাল লাগবে।
ডিগ্রীর সকল বর্ষের ফলাফল দেখুন এখানে
🔘 একটা প্রশ্ন শেষ করে ওই পৃষ্ঠাতেই কখনই নতুন প্রশ্ন শুরু করবেন না। আর প্রশ্নের নম্বর এমন ভাবে মার্ক করে দিবেন যাতে টিচারের চোখে দ্রুত পরে।
🔘 প্রতিটি প্রশ্নের উত্তরের সাইজ একই রাখার ট্রাই করবেন যাতে একটা বেশি বড় আবার একটা বেশি ছোট না হয়৷
🔘 সংজ্ঞামূলক প্রশ্নে প্রথমেই সূচনা দিবেন তারপর বইয়ের সংজ্ঞা দেন মনীষীদের দুইটা সংজ্ঞা দিবেন দেন সংজ্ঞাগুলো থেকে কি কি মূল বিষয় পেলে তার একটি সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দিবেন।
🔘 এক মার্কও ছাড়া যাবে না, ৫ মার্ক পরপর সিজিপিএ গ্রেড চেঞ্জ হয় সুতরাং এই দিকটা অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে।
🔘 পয়েন্ট চিহ্নিত করার জন্য কালার পেন ব্যবহার করতে পারেন। ( লাল বাদে)
🔘 যারা সময় মেইন্টেন করে ঠিকমত সব দিতে পারবেন তারাই ভাল করবেন। ২/৩ টা পরীক্ষা টাইম মেইন্টেন করে দিতে পারলে পরের গুলাও টাইম মেইন্টেন করতে পারবেন সহজেই।
প্রথমে ক এরপর গ এরপর খ বিভাগ দিলে দেখবেন পরীক্ষায় ভাল মতই সবগুলা প্রশ্ন দিতে পেরেছেন। অনেকেই খ আগে দিতে গিয়ে ভাল করে লিখে সময় নষ্ট করে ফেলে পরে গ বিভাগে সময়ের অভাবে শেষের প্রশ্ন গুলা এতটাই ছোট দিয়ে ফেলে যা খ বিভাগের চেয়েও ছোট হয়ে যায়। তাই টাইম মেইন্টেন করা মেইন কাজ ঘড়ি ধরে পরীক্ষা দিতে হবে।
আশা করি সবার কথাগুলা কাজে দিবে।
শিক্ষামূলক বিভিন্ন খবরাখবর সহ যাবতীয় স্কুল কলেজের ফলাফল সংক্রান্ত বিষয় কিংবা ফরম পূরণ করতে অথবা এ সংক্রান্ত যাবতীয় অনলাইন পরিষেবা পাওয়ার জন্য Online Solution BD এর সাথেই থাকুন।
No comments: